,

হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালে মন্ত্রীর আদেশ অমান্য করে দালালদের দৌরাত্ম

জুয়েল চৌধুরী ॥ হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতালে মন্ত্রীর আদেশ উপেক্ষা করে আবারো দালালদের দৌরাত্ম বৃদ্ধি পেয়েছে। আর এ সব দালালদের মমদ দিচ্ছে হাসপাতালের কতিপয় ডাক্তার ও কর্মচারীরা। গত শনিবার দুপুরে হবিগঞ্জ সদর আধুনিক সদর হাসপাতালের কর্মচারীদেরকে নিয়ে এক সভায় বেসাময়ীক বিমান মন্ত্রী এডভোকেট মাহবুব আলী এমপি সদর হাসাপাতাল দালাল মুক্তসহ সার্বিক উন্নয়নের আশ্বাস প্রদান করেন। কিন্তু তিনি যাওয়ার পর থেকেই আবারো দালালদের দৌরাত্ম বৃদ্ধি পায়। জরুরী বিভাগে ও বিভিন্ন ওয়ার্ডে প্রকাশ্যে চলছে তাদের আদিপত্য বিস্তার। দালালদের খপ্পরে পরে গ্রামগঞ্জ থেকে আসা সহজ-সরল মানুষ সবর্স্ব হারিয়ে বাড়ি ফিরছে অভিযোগ রয়েছে অহরহ। আবার কেউ-কেউ ফার্মেসীতে গিয়ে অতিরিক্ত টাকা দিতে হচ্ছে। শুধু তাই নয় বিভিন্ন রোগীকে হাসাপাতালে ভর্তি সিট পাইয়ে দেয়ার কথা বলে তা না দিয়ে টাকা পয়সা হাতিয়ে নেয়। সম্প্রতি পুলিশ ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ মিলে দালালদের একটি তালিকা তৈরি করে। পুলিশ ইতিমধ্যে কয়েক জনকে  আটক করে কারাগারে প্রেরন করলে ও তাদের মমদদাতারা আইনের ফাঁক-ফোকর দিয়ে ছাড়িয়ে এনে তাদের আবারো একই পেশায় জড়িত করেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাদিক দালাল জানান, যত দুষ নন্দঘোষ, আমরা তো সামান্য টাকার জন্য দালালী করি, কিন্তু হাসপাতালের কতিপয় কিছু ডাক্তার ও ব্রাদাররা  আমাদেরকে দিয়ে দালালী করিয়ে ফায়দা হসিল করে আর আমাদেরকে নুন্যতম কমিশন দিয়ে থাকে। এই টাকা দিয়ে আমরা কোনরকম জিবিকা নির্বাহ করে থাকি। তারা আরও জানান, পুলিশ আমাদের লোক ধরলেও সমস্যা নাই, বড় ভাইয়েরা ছাড়িয়ে আনবেন। এ নিয়ে জনমনে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। হবিগঞ্জ জেলার একমাত্র ভরসা এই হাসপাতাল যদি এ রকম করে চলতে থাকে তাহলে মানুষের আস্তা হারিয়ে যাবে। ভুক্তভোগী কয়েজন রোগীরা জানান, জরুরী বিভাগে আসা মাত্রই চিকিৎসা পত্র লেখার সাথে সাথে দালালরা হাতিয়েসহ জোরপূর্বক নিয়ে যায়। তখন রোগীরা বাদ্য হয়েই দালালদের দিয়ে চিকিৎসা করাতে হয়। এ ব্যাপারে সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক রথীন্দ্র চন্দ্র দেব জানান, ইতি পূর্বে আমরা দালালদের ব্যবস্থা নিয়েছি এবং আবারো নিব।


     এই বিভাগের আরো খবর